Home
» কাজী নজরুল ইসলাম
» kazi nazrul islam er bangla ukti 100+ - কাজী নজরুল ইসলাম এর বাংলা উক্তি সমুহ
Wednesday, April 29, 2020
kazi nazrul islam er bangla ukti 100+ - কাজী নজরুল ইসলাম এর বাংলা উক্তি সমুহ
kazi nazrul islam er bangla ukti 100+ - কাজী নজরুল ইসলাম এর বাংলা উক্তি সমুহ
নুড়ি হাজার বছর ঝরণায় ডুবে থেকেও রস পায় নাকাজী নজরুল ইসলাম
তোমারে যে চাহিয়াছে ভুলে একদিন, সে জানে তোমারে ভোলা কি কঠিন
কাজী নজরুল ইসলাম
ভালবাসার কোন অর্থ বা পরিমাণ নেই
কাজী নজরুল ইসলাম
প্রেম হল ধীর প্রশান্ত ও চিরন্তন
কাজী নজরুল ইসলাম
আসে বসন্ত ফুল বনে সাজে বনভূমি সুন্দরী;
চরণে পায়েলা রুমুঝুমু মধুপ উঠিছে গুঞ্জরি
বসন্ত এলো এলো এলো রে
পঞ্চম স্বরে কোকিল কুহরে
মুহু মুহু কুহু কুহু তানে
বসন্ত মুখর আজিদক্ষিণ সমীরণে মর্মর গুঞ্জনেবনে বনে বিহ্বল বাণী ওঠে বাজি
বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে, আমরা তখনও বসে- বিবি তালাকের ফতোয়া খুঁজেছি, ফিকাহ ও হাদিস চষে
গিন্নির চেয়ে শালী ভালো
হিন্দু না ওরা মুসলিম এই জিজ্ঞাসে কোন জন হে, কাণ্ডারি বল ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মা’র
আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দিই পদ-চিহ্ন
বল বীর-বল উন্নত মম শির!শির নেহারী' আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রীর
মহা - বিদ্রোহী রণক্লান্তআমি সেই দিন হব শান্ত।যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে-বাতাসে ধ্বনিবে না,অত্যাচারীর খড়ুগ কৃপাণ ভীম রণ, ভূমে রণিবে না-বিদ্রোহী রণক্লান্তআমি সেই দিন হব শান্ত
আসিবে তুমি জানি প্রিয়আনন্দে বনে বসন্ত এলোভুবন হল সরসা, প্রিয়-দরশা, মনোহর।বনানতে পবন অশান্ত হল তাইকোকিল কুহরে, ঝরে গিরি নির্ঝরিণী ঝর ঝর
গগনে কৃষ্ণ মেঘ দোলে – কিশোর কৃষ্ণ দোলে বৃন্দাবনেথির সৌদামিনী রাধিকা দোলে নবীন ঘনশ্যাম সনে;
দোলে রাধা শ্যাম ঝুলন-দোলায় দোলে আজি শাওনে
আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই!বিশ্বে যা-কিছু মহান্ সৃষ্টি চির-কল্যাণকর,অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর
চাঁদ হেরিছে চাঁদমুখ তার সরসীর আরশিতেছোটে তরঙ্গ বাসনা ভঙ্গ সে অঙ্গ পরশিতে।
তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়, সে কি মোর অপরাধ?চাঁদেরে হেরিয়া কাঁদে চকোরিণী বলে না তো কিছু চাঁদ
অঞ্জলি লহ মোর সংগীতেপ্রদীপ-শিখা সম কাঁপিছে প্রাণ মমতোমারে সুন্দর, বন্দিতে সঙ্গীতে।।
কারার ঐ লৌহকপাট,ভেঙ্গে ফেল কর রে লোপাট,রক্ত-জমাট শিকল পূজার পাষাণ-বেদী।
নামাজ পড়, রোজা রাখ, কলমা পড় ভাই,তোর আখেরের কাজ করে নে সময় যে আর নাই
শুণ্যে মহা আকাশেতুমি মগ্ন লীলা বিলাসেভাঙ্গিছো গড়িছো নীতি ক্ষণে ক্ষণেনির্জনে প্রভু নির্জনে খেলিছো
কামনা আর প্রেম দুটি হচ্ছে সম্পুর্ণ আলাদা। কামনা একটা প্রবল সাময়িক উত্তেজনা মাত্র আর প্রেম হচ্ছে ধীর প্রশান্ত ও চিরন্তন।
মিথ্যা শুনিনি ভাইএই হৃদয়ের চেয়ে বড় কোনও মন্দির-কাবা নাই
শিহরি উঠো না শাস্ত্রবিদেরের ক’রোনা ক’ বীর ভয়তাহারা খোদার খোদ ‘প্রাইভেট সেক্রেটারি’ তো নয়
ও কারা কোরাণ বেদ বাইবেল চুম্বিছে মরি মরিও মুখ হইতে কেতাব গ্রন্থ নাও জোর করে কেড়েযাহারা আনিল গ্রন্থ-কেতাব সেই মানুষেরে মেরেপুজিছে গ্রন্থ ভন্ডের দল! – মুর্খরা সব শোনমানুষ এনেছে গ্রন্থ; গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনও
আপন পাপের বাটখারা দিয়ে অন্যের পাপ মাপিজবাবদিহির কেন এত ঘটা যদি দেবতাই হওটুপি পড়ে টিকি রেখে সদা বলো যেন তুমি পাপী নওপাপী নও যদি কেন এ ভড়ং ট্রেডমার্কার ধুমপুলিশি পোশাক পরিয়া হয়েছ পাপের আসামী গুম
মৌ-লোভী যত মৌলবি আর মোল-লা’রা কন হাত নেড়েদেব-দেবী নাম মুখে আনে সবে দাও পাজিটার জাত মেরেফতোয়া দিলাম কাফের কাজী ওযদিও শহীদ হইতে রাজি ওআমপারা পড়া হামবড়া মোরা এখনও বেড়াই ভাত মেরেহিন্দুরা ভাবে পার্শী শব্দে কবিতা লেখে ও পা’ত নেড়ে
মওলানা মৌলবি সাহেবকে সওয়া যায়, মোল্লাও চক্ষুকর্ণ বুজিয়া সহিতে পারি, কিন্তু কাঠমোল্লার অত্যাচার অসহ্য হইয়া উঠিয়াছে। ইসলামের কল্যাণের নামে ইহারা যে কওমের জাতির ধর্মের কি অনিষ্ট করিতেছেন তাহা বুঝিবার মত জ্ঞান নাই বলিয়াই ইহাদের ক্ষমা করা যায় না। ইহারা প্রায় প্রত্যেকেই ‘মনে মনে শাহ ফরীদ, বগল মে ইট’। ইহাদের নীতি ‘মুর্দা দোজখ মে যায় আওর বেহেশত মে যায়, মেরা হালুয়া রুটি সে কাম’।
মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাইযেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই।
আমার যাবার সময় হল দাও বিদায়মোছ আঁখি দুয়ার খোল দাও বিদায়।।
ফোটে যে ফুল আঁধার রাতেঝরে ধুলায় ভোর বেলাতেআমায় তারা ডাকে সাথী আয়রে আয়সজল করুণ নয়ন তোলো দাও বিদায়।।
খেলিছ এ বিশ্ব লয়েবিরাট শিশু আনমনে।প্রলয় সৃষ্টি তব পুতুল খেলানিরজনে প্রভু নিরজনে।।
সে দেশে যবে বাদল ঝরেকাঁদে না কি প্রাণ একেলা ঘরে,বিরহ ব্যথা নাহি কি সেথা বাজে না বাঁশি নদীর তীরে।।
স্বপনে কি যে কয়েছি তাই গিয়াছে চলেজাগিয়া কেদে ডাকি দেবতায়প্রিয়তম প্রিয়তম প্রিয়তম।।
কোনকালে একা হয়নিকো জয়ী, পূরুষের তরবারী;প্রেরনা দিয়েছে, শক্তি দিয়াছে, বিজয়ালক্ষী নারী
বসন্ত এলো এলো এলোরেপঞ্চম স্বরে কোকিল কুহুরেমুহু মুহু কুহু কুহু তানেমাধবী নিকুঞ্জে পুঞ্জে পুঞ্জেভ্রমর গুঞ্জে গুঞ্জে গুনগুন গানে
যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে,অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে-বুঝবে সেদিন বুঝবে!ছবি আমার বুকে বেঁধেপাগল হ’লে কেঁদে কেঁদেফিরবে মর” কানন গিরি,সাগর আকাশ বাতাস চিরি’যেদিন আমায় খুঁজবে-বুঝবে সেদিন বুঝবে!
স্বপন ভেঙে নিশুত্ রাতে জাগবে হঠাৎ চমকে,কাহার যেন চেনা-ছোঁওয়ায় উঠবে ও-বুকে ছমকে,-জাগবে হঠাৎ চমকে!ভাববে বুঝি আমিই এসেব’সনু বুকের কোলটি ঘেঁষে,ধরতে গিয়ে দেখবে যখনশূন্য শয্যা! মিথ্যা স্বপন!বেদনাতে চোখ বুঁজবে-বুঝবে সেদিন বুঝবে!
গাইতে ব’সে কন্ঠ ছিঁড়ে আসবে যখন কান্না,ব’লবে সবাই-“ সেই যে পথিক তার শেখানো গান না?’’আসবে ভেঙে কান্না!প’ড়বে মনে আমার সোহাগ,কন্ঠে তোমার কাঁদবে বেহাগ!প’ড়বে মনে অনেক ফাঁকিঅশ্র”-হারা কঠিন আঁখিঘন ঘন মুছবে-বুঝবে সেদিন বুঝবে!
আবার যেদিন শিউলি ফুটে ভ’রবে তোমার অঙ্গন,তুলতে সে ফুল গাঁথতে মালা কাঁপবে তোমার কঙ্কণ-কাঁদবে কুটীর-অঙ্গন!শিউলি ঢাকা মোর সমাধিপ’ড়বে মনে, উঠবে কাঁদি’!বুকের মালা ক’রবে জ্বালাচোখের জলে সেদিন বালামুখের হাসি ঘুচবে-বুঝবে সেদিন বুঝবে!
আসবে আবার আশিন-হাওয়া, শিশির-ছেঁচা রাত্রি,থাকবে সবাই - থাকবে না এই মরণ-পথের যাত্রী!আসবে শিশির-রাত্রি!থাকবে পাশে বন্ধু স্বজন,থাকবে রাতে বাহুর বাঁধন,বঁধুর বুকের পরশনেআমার পরশ আনবে মনে-বিষিয়ে ও-বুক উঠবে-বুঝবে সেদিন বুঝবে!
আসবে আবার শীতের রাতি, আসবে না'ক আর সে-তোমার সুখে প’ড়ত বাধা থাকলে যে-জন পার্শ্বে,আসবে না'ক আর সে!প’ড়বে মনে, মোর বাহুতেমাথা থুয়ে যে-দিন শুতে,মুখ ফিরিয়ে থাকতে ঘৃণায়!সেই স্মৃতি তো ঐ বিছানায়কাঁটা হ’য়ে ফুটবে-বুঝবে সেদিন বুঝবে!
আবার গাঙে আসবে জোয়ার, দুলবে তরী রঙ্গে,সেই তরীতে হয়ত কেহ থাকবে তোমার সঙ্গে-দুলবে তরী রঙ্গে,প’ড়বে মনে সে কোন্ রাতেএক তরীতে ছিলেম সাথে,এমনি গাঙ ছিল জোয়ার,নদীর দু’ধার এমনি আঁধারতেমনি তরী ছুটবে-বুঝবে সেদিন বুঝবে!
তোমার সখার আসবে যেদিন এমনি কারা-বন্ধ,আমার মতন কেঁদে কেঁদে হয়ত হবে অন্ধ-সখার কারা-বন্ধ!বন্ধু তোমার হানবে হেলাভাঙবে তোমার সুখের মেলা;দীর্ঘ বেলা কাটবে না আর,বইতে প্রাণের শান- এ ভারমরণ-সনে বুঝ্বে-বুঝবে সেদিন বুঝবে!
ফুটবে আবার দোলন চাঁপা চৈতী-রাতের চাঁদনী,আকাশ-ছাওয়া তারায় তারায় বাজবে আমার কাঁদনী-চৈতী-রাতের চাঁদনী।ঋতুর পরে ফিরবে ঋতু,সেদিন-হে মোর সোহাগ-ভীতু!চাইবে কেঁদে নীল নভো গা’য়,আমার মতন চোখ ভ’রে চায়যে-তারা তা’য় খুঁজবে-বুঝবে সেদিন বুঝবে!
আসবে ঝড়, নাচবে তুফান, টুটবে সকল বন্ধন,কাঁপবে কুটীর সেদিন ত্রাসে, জাগবে বুকে ক্রন্দন-টুটবে যবে বন্ধন!পড়বে মনে, নেই সে সাথেবাঁধবে বুকে দুঃখ-রাতে-আপনি গালে যাচবে চুমা,চাইবে আদর, মাগবে ছোঁওয়া,আপনি যেচে চুমবে-বুঝবে সেদিন বুঝবে।
আমার বুকের যে কাঁটা-ঘা তোমায় ব্যথা হানত্সেই আঘাতই যাচবে আবার হয়ত হ’য়ে শ্রান–আসবে তখন পান’।হয়ত তখন আমার কোলেসোহাগ-লোভে প’ড়বে ঢ’লে,আপনি সেদিন সেধে কেঁদেচাপবে বুকে বাহু বেঁধে,চরণ চুমে পূজবে-বুঝবে সেদিন বুঝবে!
যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবেঅস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুঁছবেবুঝবে সেদিন বুঝবে।
ছবি আমার বুকে বেধেপাগল হয়ে কেঁদে কেঁদেফিরবে মরু কানন গিরিসাগর আকাশ বাতাশ চিরিসেদিন আমায় খুজবেবুঝবে সেদিন বুঝবে।
স্বপন ভেঙ্গে নিশুত রাতে, জাগবে হঠাৎ চমকেকাহার যেন চেনা ছোয়ায় উঠবে ও-বুক ছমকে-জাগবে হঠাৎ ছমকে,ভাববে বুঝি আমিই এসেবসনু বুকের কোলটি ঘেষেধরতে গিয়ে দেখবে যখনশুন্য শয্যা মিথ্যা স্বপনবেদনাতে চোখ বুজবে-বুঝবে সেদিন বুঝবে
গাইতে গিয়ে কন্ঠ ছিড়ে আসবে যখন কান্নাবলবে সবাই- সেই যে পথিক তার শোনানো গান না?-আসবে ভেঙ্গে কান্না,পড়বে মন আমার সোহাগকন্ঠে তোমার কাদবে বেহাগপড়বে মনে আমার ফাকিঅশ্রুহারা কঠিন আখিঘন ঘন মুছবে,বুঝবে সেদিন বুঝবে।
আবার যেদিন শিউলী ফুলে ভরবে তোমার অঙ্গনতুলতে সে ফুল গাথতে মালা, কাপবে তোমারকঙ্কণকাদবে কুটির অঙ্গন,শিউলী ঢাকা মোর সমাধিপড়বে মনে উঠবে কাদিবুকের জ্বালা করবে মালাচোখের জলে সেদিন বালামুখের হাসি ঘুচবেবুঝবে সেদিন বুঝবে।
আসবে আবার আশিন হাওয়া, শিশির ছেচা রাত্রিথাকবে সবাই- থাকবে না এই মরন পথের যাত্রীইআসবে শিশির রাত্রি,থাকবে পাশে বন্ধু সুজনথাকবে রাত বাহুর বাধনবধুর বুকের পরশনেআমার পরশ আনবে মনেবিষিয়ে ও বুক উঠবেবুঝবে সেদিন বুঝবে।
আসবে তোমার শীতের রাতি, আসবে নাকো আর সেতোমার সুখে পড়তো বাধা থাকলে যে জন পার্শ্বেআসবে নাকো আর সে,পড়বে মন মোর বাহুতেমাথা থুয়ে যেদিন শুতেমুখ ফিরিয়ে থাকতে ঘৃণায়সেই স্মৃতি নিত বিছানায়কাটা হয়ে ফুটবে-বুঝবে সেদিন বুঝবে।
আবার গাঙ্গে আসবে জোয়ার, দুলবে তরী রঙ্গেসেই তরীতে হয়তো কেহ থাকবে তোমার সঙ্গেদুলবে তরী রঙ্গে,পড়বে মনে সে কোন রাতেএক তরীতে ছিলে সাথেএমনি গাঙে ছিল জোয়ারনদীর দুধার এমনি আধারতেমনি তরী ছুটবে-বুঝবে সেদিন বুঝবে।
তোমার সখার আসবে যেদিন এমনি কারা বন্ধআমার মত কেদে কেদে হয়তো হবে অন্ধসখার কারা বন্ধ,বন্ধু তোমার হানবে হেলাভাঙ্গবে তোমার সুখের খেলাদীর্ঘ লো কাটবে না আরবইতে প্রাণ শ্রান্ত এ ভারসরন মনে যুঝবেবুঝবে সেদিন বুঝবে।
আসবে ঝড়ি, নাচবে তুফান টুটবে সকল বন্ধনকাপবে কুটির সেদিন ত্রাসে, জাগবে বুকেক্রন্দনটুটবে যবে বন্ধন,পড়বে মনে নেই সে সাথেবাধতে বুকে দুঃখ রাতে-আপনি গালে যাচবে চুমাচাইবে আদর মাগবে ছোওয়াআপনি যেচে চুমবেবুঝবে সেদিন বুঝবে।
আমি বন্ধনহারা কুমারীর বেনী, তন্বী নয়নে বহ্নি, আমি ষোড়শীর হৃদি-সরসিজ প্রেম উদ্দাম, আমি ধন্যি
খেলে চঞ্চলা বরষা-বালিকামেঘের এলোকেশে ওড়ে পুবালি বায়দোলে গলায় বলাকার মালিকা।।
চপল বিদ্যুতে হেরি' সে চপলারঝিলিক হানে কণ্ঠের মণিহার,নীল আঁচল হতে তৃষিত ধরার পথেছুড়ে ফেলে মুঠি মুঠি বৃষ্টি শেফালিকা।।
কেয়া পাতার তরী ভাসায় কমল -ঝিলেতরু-লতার শাখা সাজায় হরিৎ নীলে।ছিটিয়ে মেঠো জল খেলে সে অবিরলকাজলা দীঘির জলে ঢেউ তোলেআনমনে ভাসায় পদ্ম-পাতার থালিকা।।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদতুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ।তোর সোনা-দানা, বালাখানা সব রাহে লিল্লাহদে যাকাত, মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিঁদও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
আমরা সবাই পাপী;আপন পাপের বাটখারা দিয়ে;অন্যের পাপ মাপি !!
বসন্ত মুখর আজিদক্ষিণ সমীরণে মর্মর গুঞ্জনেবনে বনে বিহ্বল বাণী ওঠে বাজি
আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দিই পদ-চিহ্ন
মহা - বিদ্রোহী রণক্লান্তআমি সেই দিন হব শান্ত।যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে-বাতাসে ধ্বনিবে না,অত্যাচারীর খড়ুগ কৃপাণ ভীম রণ, ভূমে রণিবে না-বিদ্রোহী রণক্লান্তআমি সেই দিন হব শান্ত
আসিবে তুমি জানি প্রিয়আনন্দে বনে বসন্ত এলোভুবন হল সরসা, প্রিয়-দরশা, মনোহর।বনানতে পবন অশান্ত হল তাইকোকিল কুহরে, ঝরে গিরি নির্ঝরিণী ঝর ঝর
গগনে কৃষ্ণ মেঘ দোলে – কিশোর কৃষ্ণ দোলে বৃন্দাবনেথির সৌদামিনী রাধিকা দোলে নবীন ঘনশ্যাম সনে;দোলে রাধা শ্যাম ঝুলন-দোলায় দোলে আজি শাওনে
আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই!বিশ্বে যা-কিছু মহান্ সৃষ্টি চির-কল্যাণকর,অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর
চাঁদ হেরিছে চাঁদমুখ তার সরসীর আরশিতেছোটে তরঙ্গ বাসনা ভঙ্গ সে অঙ্গ পরশিতে।
তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়, সে কি মোর অপরাধ?চাঁদেরে হেরিয়া কাঁদে চকোরিণী বলে না তো কিছু চাঁদ
শুণ্যে মহা আকাশেতুমি মগ্ন লীলা বিলাসেভাঙ্গিছো গড়িছো নীতি ক্ষণে ক্ষণেনির্জনে প্রভু নির্জনে খেলিছো
কামনা আর প্রেম দুটি হচ্ছে সম্পুর্ণ আলাদা। কামনা একটা প্রবল সাময়িক উত্তেজনা মাত্র আর প্রেম হচ্ছে ধীর প্রশান্ত ও চিরন্তন।
শিহরি উঠো না শাস্ত্রবিদেরের ক’রোনা ক’ বীর ভয়তাহারা খোদার খোদ ‘প্রাইভেট সেক্রেটারি’ তো নয়
আপন পাপের বাটখারা দিয়ে অন্যের পাপ মাপিজবাবদিহির কেন এত ঘটা যদি দেবতাই হওটুপি পড়ে টিকি রেখে সদা বলো যেন তুমি পাপী নওপাপী নও যদি কেন এ ভড়ং ট্রেডমার্কার ধুমপুলিশি পোশাক পরিয়া হয়েছ পাপের আসামী গুম
মৌ-লোভী যত মৌলবি আর মোল-লা’রা কন হাত নেড়েদেব-দেবী নাম মুখে আনে সবে দাও পাজিটার জাত মেরেফতোয়া দিলাম কাফের কাজী ওযদিও শহীদ হইতে রাজি ওআমপারা পড়া হামবড়া মোরা এখনও বেড়াই ভাত মেরেহিন্দুরা ভাবে পার্শী শব্দে কবিতা লেখে ও পা’ত নেড়ে
মওলানা মৌলবি সাহেবকে সওয়া যায়, মোল্লাও চক্ষুকর্ণ বুজিয়া সহিতে পারি, কিন্তু কাঠমোল্লার অত্যাচার অসহ্য হইয়া উঠিয়াছে। ইসলামের কল্যাণের নামে ইহারা যে কওমের জাতির ধর্মের কি অনিষ্ট করিতেছেন তাহা বুঝিবার মত জ্ঞান নাই বলিয়াই ইহাদের ক্ষমা করা যায় না। ইহারা প্রায় প্রত্যেকেই ‘মনে মনে শাহ ফরীদ, বগল মে ইট’। ইহাদের নীতি ‘মুর্দা দোজখ মে যায় আওর বেহেশত মে যায়, মেরা হালুয়া রুটি সে কাম
ফোটে যে ফুল আঁধার রাতেঝরে ধুলায় ভোর বেলাতেআমায় তারা ডাকে সাথী আয়রে আয়সজল করুণ নয়ন তোলো দাও বিদায়।।
সে দেশে যবে বাদল ঝরেকাঁদে না কি প্রাণ একেলা ঘরে,বিরহ ব্যথা নাহি কি সেথা বাজে না বাঁশি নদীর তীরে।।
স্বপনে কি যে কয়েছি তাই গিয়াছে চলেজাগিয়া কেদে ডাকি দেবতায়প্রিয়তম প্রিয়তম প্রিয়তম।।
কোনকালে একা হয়নিকো জয়ী, পূরুষের তরবারী;প্রেরনা দিয়েছে, শক্তি দিয়াছে, বিজয়ালক্ষী নারী
স্বপন ভেঙে নিশুত্ রাতে জাগবে হঠাৎ চমকে,কাহার যেন চেনা-ছোঁওয়ায় উঠবে ও-বুকে ছমকে,-জাগবে হঠাৎ চমকে!ভাববে বুঝি আমিই এসেব’সনু বুকের কোলটি ঘেঁষে,ধরতে গিয়ে দেখবে যখনশূন্য শয্যা! মিথ্যা স্বপন!বেদনাতে চোখ বুঁজবে-বুঝবে সেদিন বুঝবে!
আবার যেদিন শিউলি ফুটে ভ’রবে তোমার অঙ্গন,তুলতে সে ফুল গাঁথতে মালা কাঁপবে তোমার কঙ্কণ-কাঁদবে কুটীর-অঙ্গন!শিউলি ঢাকা মোর সমাধিপ’ড়বে মনে, উঠবে কাঁদি’!বুকের মালা ক’রবে জ্বালাচোখের জলে সেদিন বালামুখের হাসি ঘুচবে-বুঝবে সেদিন বুঝবে!
আবার গাঙে আসবে জোয়ার, দুলবে তরী রঙ্গে,সেই তরীতে হয়ত কেহ থাকবে তোমার সঙ্গে-দুলবে তরী রঙ্গে,প’ড়বে মনে সে কোন্ রাতেএক তরীতে ছিলেম সাথে,এমনি গাঙ ছিল জোয়ার,নদীর দু’ধার এমনি আঁধারতেমনি তরী ছুটবে-বুঝবে সেদিন বুঝবে!
তোমার সখার আসবে যেদিন এমনি কারা-বন্ধ,আমার মতন কেঁদে কেঁদে হয়ত হবে অন্ধ-সখার কারা-বন্ধ!বন্ধু তোমার হানবে হেলাভাঙবে তোমার সুখের মেলা;দীর্ঘ বেলা কাটবে না আর,বইতে প্রাণের শান- এ ভারমরণ-সনে বুঝ্বে-বুঝবে সেদিন বুঝবে!
ছবি আমার বুকে বেধেপাগল হয়ে কেঁদে কেঁদেফিরবে মরু কানন গিরিসাগর আকাশ বাতাশ চিরিসেদিন আমায় খুজবেবুঝবে সেদিন বুঝবে।
আমি বন্ধনহারা কুমারীর বেনী, তন্বী নয়নে বহ্নি, আমি ষোড়শীর হৃদি-সরসিজ প্রেম উদ্দাম, আমি ধন্যি
খেলে চঞ্চলা বরষা-বালিকামেঘের এলোকেশে ওড়ে পুবালি বায়দোলে গলায় বলাকার মালিকা।।
চপল বিদ্যুতে হেরি' সে চপলারঝিলিক হানে কণ্ঠের মণিহার,নীল আঁচল হতে তৃষিত ধরার পথেছুড়ে ফেলে মুঠি মুঠি বৃষ্টি শেফালিকা।।
ভালবাসার কোন অর্থ বা পরিমাণ নেই
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
No comments :
Post a Comment